গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে শনিবার মুক্তির জন্য চার জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরা সবাই ইসরায়েলি সেনা। তারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে গাজায় বন্দী ছিলেন। পরে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দি।
আল জাজিরা বলেছে, মোট ২০০ জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি বন্দিদের নিয়ে বাসগুলো রামাল্লার ঠিক পশ্চিমে বিতুনিয়া শহরে পৌঁছেছে।
এর আগে বিকেলে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী(আইডিএফ) জানায়, আমরা এইমাত্র নিশ্চিত করেছি যে রেডক্রসের মাধ্যমে জিম্মিদের ইসরায়েলি সেনাবাহিনীতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এক্সে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ফিরে আসা চার জিম্মিকে বর্তমানে আইডিএফ বিশেষ বাহিনী এবং আইএসএ বাহিনী তাদের ইসরায়েলি ভূখণ্ডে নিয়ে যাচ্ছে। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা মূল্যায়ন করা হবে। এর আগে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর কমান্ডার এবং সৈন্যরা ফিরে আসা জিম্মিদের অভিবাদন জানিয়েছে।” তবে “আইডিএফের মুখপাত্রের ইউনিট সবাইকে ফিরে আসা জিম্মি এবং তাদের পরিবারের গোপনীয়তাকে সম্মান করতে অনুরোধ করেছে।”
এদিন সন্ধ্যায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ফিলিস্তিনি বন্দিদের নিয়ে রামাল্লার দিকে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে বন্দিদের পরিবারের সদস্যরা জড়ো হয়েছেন। এসব বাস ওফার জেল থেকে প্রায় তিন মাইল দূরে এসেছে।
মুক্তি পেতে যাওয়া ২০০ জনের মধ্যে ১২১ জন ইসরায়েলের কারাগারে যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছেন। কয়েকজনকে ইসরায়েলি আদালত একাধিক খুনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে। এদের মধ্যে আছেন ১৯৮৬ সাল থেকে দীর্ঘ ৩৯ বছর ধরে কারাগারে থাকা ব্যক্তিও। মুক্তি পেতে যাওয়া সর্বকনিষ্ঠ বন্দি ১৬ বছর বয়সী ছেলে।
মুক্তিপ্রাপ্ত প্রায় অর্ধেক বন্দিকে পশ্চিম তীরে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে দেয়া হবে। তবে সবচেয়ে গুরুতর অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত ৭০ জনকে মিশরের মাধ্যমে কাতার এবং তুরস্কসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে নির্বাসন করা হবে। আর অল্প সংখ্যক বন্দিকে গাজায় পাঠানো হবে।
খুলনা গেজেট/এএজে